বেবিওরা রাজমা খিচুড়ি । BABYORA Rajma Khichuri । 400g
৳ 500 Original price was: ৳ 500.৳ 485Current price is: ৳ 485.
রাজমা, চাল, ডাল ও হালকা মসলা মিশ্রন।
১০০% অর্গানিক
পরিমান: ৪০০ গ্রাম
Out of stock
Description
বেবিওরা রাজমা খিচুড়ি । BABYORA Rajma Khichuri
পণ্যের বিবরণ:
শিশুর প্রতিদিনের পুষ্টিতে চাই এমন কিছু, যা সহজে হজম হয়, সুস্বাদু, আর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক। “বেবিওরা রাজমা খিচুড়ি” সেই ঘরোয়া নির্ভরতার স্বাদ, যেখানে মায়ের ভালোবাসা মিশে আছে প্রতিটি উপাদানে।
প্রাচীনকাল থেকেই ডাল, চাল ও মসলার ভারসাম্যপূর্ণ মিশ্রণে রান্না হওয়া খিচুড়ি ছিল রোগী কিংবা শিশুর পুষ্টিকর খাবারের অন্যতম উৎস। Babyora এই ঐতিহ্যবাহী খাবারকে শিশুদের জন্য নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে—সম্পূর্ণ প্রিজারভেটিভ মুক্ত, কেমিক্যাল ছাড়া এবং অর্গানিক উপাদানে প্রস্তুত একটি বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য রাজমা খিচুড়ি হিসেবে। এটি শিশুদের জন্য সেফ ফুড, হেলদি মিল এবং সচেতন মা-বাবার জন্য একটি সেরা পছন্দনীয় খাবার।
ব্যবহৃত উপাদান সমূহঃ
ব্লাক রাইস,লাল আমন চাউল,রাতাবরো চাউল,সবুজ মুগ ডাউল, মুসুর ডাউল,ছোলার ডাউল, রাজমা,জিরা,দারচিনি, তেজপাতা, হলুদ ইত্যাদি।
এতে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়—
প্রোটিন
আয়রন
ক্যালসিয়াম
ম্যাগনেশিয়াম
ভিটামিন B কমপ্লেক্স
ফাইবার
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
উপাদান বিশ্লেষণঃ
১. রাজমাঃ
রাজমা, বা ইংরেজিতে Kidney Beans, হলো এক ধরনের লাল বর্ণের শুষ্ক বিনস যা দেখতে অনেকটা মানব কিডনির মতো। এটি মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চল থেকে উৎপত্তি হলেও বর্তমানে সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য উপাদান। বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালে রাজমা দিয়ে তৈরি নানা পদ—যেমন রাজমা কারি, রাজমা খিচুড়ি, সালাদ ইত্যাদি বহুল প্রচলিত।
পুষ্টিগুণ (Per 100g cooked Rajma Beans):
ক্যালোরি: ~127 kcal
প্রোটিন: 8.7g
কার্বোহাইড্রেট: 22.8g (এর মধ্যে ফাইবার ~6.4g)
ফ্যাট: 0.5g
আয়রন: ~2.9 mg
ম্যাগনেশিয়াম: ~45 mg
ফোলেট (Vitamin B9): ~130 mcg
পটাশিয়াম: ~400 mg
ফসফরাস, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে।
রাজমা বিনসের উপকারিতা
- উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবারের উৎস: রাজমা হলো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর, যা দেহ গঠনে সহায়ক এবং হজমে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: এটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, যার ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষত টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে: ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- আয়রনের ভালো উৎস: আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক। শিশু, কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের জন্য রাজমা বিশেষ উপকারী।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর: রাজমা খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে: এতে থাকা ফেনলিক অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কোষের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
১.Brown Aman Rice(ব্রাউন আমন রাইস):
ফাইবার: হজম শক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
ভিটামিন B কমপ্লেক্স: শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।
ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম: হাড় মজবুত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে ভূমিকা পালন করে।
২.Black Rice(ব্ল্যাক রাইস):
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Anthocyanins): ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আয়রন ও প্রোটিন: রক্তশূন্যতা রোধে সহায়ক।
ফাইবার: হজমে সহায়তা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩.Ratabaro Rice(রাতাবরো রাইস):
কম প্রসেসড হওয়ায় ফাইবারের উপস্থিতি যথেষ্ট পরিমান।
ন্যাচারাল মিনারেলস: হাড়, দাঁত ও রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।
৪. Green Moong Lentils(সবুজ মুগ ডাউল)
হাই প্রোটিন: যা পেশী গঠনে সহায়ক।
ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: অন্ত্র পরিষ্কার করে।
ভিটামিন সি ও ফোলেট: রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও আমিষের চাহিদা যোগান দেয়।
৫. Red lentils(মুসুর ডাল)
প্রোটিন ও আয়রন: শিশুর সতেজতা ধরে রাখতে সক্ষম।
ফোলেট: স্নায়ু গঠনে সহায়ক।
লো ফ্যাট: হার্টের জন্য উপকারী।
৬.Chickpeas(ছোলা)
প্রোটিন ও ফাইবার: পেট ভরা রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
আয়রন, জিঙ্ক: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযোগী।
৮. Kidney Beans(রাজমা):
উচ্চ ফাইবার ও প্রোটিন: হজমে সহায়ক ও পেশী গঠন করে।
ফোলেট ও আয়রন: শিশুদের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী।
৯.Cumin(জিরা):
ডাইজেস্টিভ এনজাইম সক্রিয় করে: হজম বাড়ায়।
আয়রন সমৃদ্ধ: রক্ত তৈরিতে সহায়ক।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি: অন্ত্র ও পেটের ব্যথা কমায়।
১০. Cinnamon(দারুচিনি)
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কোষের ক্ষয় রোধ করে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে: ডায়াবেটিসে উপকারী
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি: সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
১১. Bay Leaf(তেজপাতা):
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিসেপটিক: দেহকে টক্সিন মুক্ত করে।
ভিটামিন A, C ও ফলিক অ্যাসিড: ত্বক, চোখ ও রক্তে সহায়ক।
১২.Turmeric Powder(হলুদ গুঁড়ো):
কারকিউমিন: প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি।
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল: রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। তাছাড়াও লিভার পরিষ্কার রাখে, ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে।
রাজমা খিচুড়ির পুষ্টিগুণঃ
১। শিশুর প্রথম খাবার হিসেবে উপযুক্তঃ
বেবিওরা রাজমা খিচুড়ি হালকা, সহজপাচ্য এবং রাসায়নিকমুক্ত হওয়ায় ৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশুদের জন্য নিরাপদ খাবার।
২। পেটের সমস্যা ও হজমের সহায়কঃ
ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদানগুলো হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেট থাকে আরামদায়ক।
৩। রক্তশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করেঃ
আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার ফলে শিশুর রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী।
৪। সুগার ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ
লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫। ঘাম, ঘ্রাণ ও স্বাদের মধ্যে প্রকৃতির ছোঁয়াঃ
প্রিজারভেটিভ মুক্ত এই খিচুড়িতে কোনো কৃত্রিম ঘ্রাণ বা রঙ নেই। সবটুকুই প্রকৃতির নিজস্ব ঘ্রাণ আর স্বাদ।
৬। মায়ের মতো যত্নে তৈরিঃ
বেবিওরা বিশ্বাস করে, খাবার শুধু পুষ্টি নয়, তা এক ধরনের ভালোবাসা—যেটা শিশু বুঝে যায় প্রথম বেলাতেই।
পরিশেষে
রাজমা খিচুড়িকে শুধু সুপার ফুড বলা যায় না, এটি ঘরের শেকড়, মা-বাবার আস্থা ও শিশুর শৈশবের এক নির্ভরযোগ্য সহচর। এর প্রতিটি উপাদান সংগ্রহ করা হয় সঠিকভাবে চাষ করা কৃষকের কাছ থেকে—প্রসেস করা হয় নিজেদের হাতে, প্রিজারভেটিভ ছাড়া, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এবং নিখুঁত ভাবে।
তাই আপনি যদি আপনার শিশুর খাবারে প্রকৃতির ছোঁয়া দিতে চান, বেবিওরা রাজমা খিচুড়ি হবে আপনার সেরা পছন্দ।
সুস্বাস্থ্য_শুরু_হোক_Babyora_থেকে।
Reviews
There are no reviews yet.